
নিজস্ব প্রতিবেদক (গজারিয়া):
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), রবিউলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৫), শ্যালক সাহেদ প্রধান (২৩) অপর পক্ষ আহতরা হলেন, জান্নাতি বেগম (২৫) ও তার চাচা মুক্তার হোসেন (৪০)।
আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ও সোনিয়া আক্তার কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী নুরুজ্জামান সরকার গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে।
এরই জের ধরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে রবিউল ইসলামের লোকজনের সাথে নুরুজ্জামান সরকারের লোকজনের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের এক নারী সহ ৫ জন আহত হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সংঘর্ষে আহত সাহেদ বলেন, সকাল থেকেই হামলাকারীরা আমার দুলাভাই রবিউল ইসলামের উপর নজর রাখতে থাকে। সকাল সাড়ে আটটার পর তিনি নাস্তা খাওয়ার জন্য বাড়িতে ঢুকলে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্তত ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী চারদিক থেকে তার বাড়িঘর ঘিরে ফেলে।
সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুজনের হাতে পিস্তল এবং তিনজনের হাতে শটগান ছিলো। বাকিদের হাতে রামদা, বগিদা ও লোহার পাইপ ছিলো। তারা প্রথমেই আমার দুলাভাই রবিউল ইসলামকে ঘর থেকে টেনে বের করে উঠানে নিয়ে বগিদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। তাকে বাঁচাতে আমার বোন এবং আমি এগিয়ে গেলে আমাদেরও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়া আহত করা হয়। আমার দুলাভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়।
দায়ের কোপে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। অপর পক্ষের ফিরোজ সরকার বলেন, তাঁরা আমার ভাই সহ আমাদের একাধিক লোককে এর পূর্বে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন, যার প্রেক্ষিতে মামলা চলমান সেই মামলায় তাঁরা জামিনে বের হয়ে এসে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে বাড়ি ঘর লুট করবে,গোয়াল ঘর থেকে গরু নিয়ে যাবে। আজকেও আমার ছোট ভাই ও ভাতিজিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেছে।
আহতদের বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.খন্দকার আরশাদ কবির বলেন, এই ঘটনায় আহত ৫ জন রোগীকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করে,গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদ বলেন,এরকম একটি খবর আমি পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
