
জাফর মিয়া,(সিনিয়র রিপোর্টার):
পর্যাক্রমে দিনে দিনে মুন্সিগঞ্জ সদরে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এতে করে বিএনপির নিজ দলের নেতাকর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজ দলে টানছেন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
এতে সদর উপজেলার চরাঞ্চলে সংঘাত সহিংসতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ।
ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমার পরিবর্তে চাপা উৎকন্ঠা ছড়িযে পড়ছে পুরো সদর উপজেলা জুড়ে ।
স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি,বিএনপির আড়ালে মুন্সিগঞ্জ শহর ও সদর উপজেলা জুড়ে সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে করে বিএনপির দলের মধ্যে কোন্দল দেখা দিচ্ছে।
বিশেষ করে চরাঞ্চলে ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে এই সংকট তীব্র হচ্ছে। তারা মনে করেন পৌর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কৌশলে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে মিশে গিয়ে দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এছাড়াও দলটিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেসের ফলে আগামী জাতীয় নিবাচনের পূর্বেই বিএনপির ভিতরে ভাঙন দেখা দিতে পরে৷
এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফকির কান্দি ও দক্ষিণ চরমশুরা এবং মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া চরকেওয়ার ইউনিয়নের পলাতক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সেল্টার দিয়ে গ্রামে উঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে।
এতে করে গ্রাম ছাড়া হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাঈদুর ফকির সহ তার কর্মী সর্মথকরা। ফলে চাপা উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে,আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাঈদুর ফকিরের সর্মথকদের বাড়িঘরে ব্যাপাক ভাংচুর করা হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়।
এসব সংঘর্ষের মূল চাবিকাঠি নাড়াচ্ছে বিএনপির একটি গ্রুপের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সর্মথকরা দাবি ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের।
এছাড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে জানাগেছে, পৌর ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কৌশলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে৷
এতে করে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন তৈরি করে একাধিক গ্রুপে ভাগ করে সহিংসতার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এসব বিরোধ মজবুত করতে বেছে নেয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে।
এছাড়া আরো অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন নামে বেনামে ফেসবুক আইডি খুলে বিএনপির দলীয় পতাকার ছবি ব্যবহার করে একাধিক আইডিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ফলে নিজেদের দলের ভিতরে কোন্দলের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমালে বিএনপির মধ্যে এত গ্রুপিং ও কোন্দল দেখা না গেলেও বর্তামানে গ্রুপিং যেন প্রকাশ্যো রুপ নিচ্ছে।
এছাড়াও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ করে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে বিএনপির হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গেছে।
সেখানে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়৷ এছাড়াও ফেসবুক অপপ্রচার যেন নিত্যদিনের ঘটনায় রুপ নিচ্ছে।
এছাড়াও শহরের ৭ নং ৮ নং ওয়ার্ড সহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দি ও চরকেওয়ার ইউনিয়নের গ্রুপিং তো রয়েছেই।
তবে এসব গ্রুপিং এর মিমাংসায় কার্যত কোনরুপ পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছেনা উর্ধতন বিএনপির নেতাকর্মীদের। এতে করে ক্ষোভের সঞ্চয়ার হচ্ছে দলটির সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ দলীয় পদ পদবিতে থাকা নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা করা না গেলে যেকোন সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষের রুপ নিতে পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিলে সে যেই হোক দলীয় সাংগঠনিক ভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাঈদুর রহমান ফকির।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় পদপদবি রয়েছে এমন লোকজনদের যদি বিএনপির কোন নেতাকর্মী সাপোর্ট দেয় বা বিএনপির কোন মিছিল মিটিংয়ে দেখা যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বঙ্গের দায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমরা দল থেকে খুব শীঘ্রই বিষয় গুলো নিযে তদন্ত করে দেখবো।
